সর্বশেষ সংবাদ

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

মানবাধিকার ও সভ্যতাবিরোধী ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ


 ৭৫ এর ১৫ আগস্টে ঘটে যাওয়া ইতিহাসের বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের জন্য জাতি হিসেবে আমরা শোকাহত হই, লজ্জিত হই। ঠিক তেমনি আরেকটি লজ্জার ইতিহাস তৈরি হয়েছিল ১৯৭৯ সালের জুলাই মাসে।  এ মাসেই অনুষ্ঠিত হওয়া সংসদের প্রথম অধিবেশনে জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকার জাতীয় সংসদকে ব্যবহার করে ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত অবৈধ সামরিক সরকারের সমস্ত বর্বর, অন্যায্য কাজের বৈধতা আদায় করে নেয় সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী পাস করানোর মাধ্যমে।

বিশ্বব্যাপী মানুষের অধিকারের কথা বলার জন্য যে সংসদ ব্যবহার হয়, বাংলাদেশে সেই সংসদকে ব্যবহার করা হয়েছিল অধিকার হরণ করার কাজে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি, জাতির পিতা হত্যার বিচার বন্ধ করার অধ্যাদেশ ইতিহাসের বর্বরোচিত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে সংবিধানের অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে জাতীয় সংসদকে ব্যবহার করা হয়েছিল।

জাতীয় সংসদকে ব্যবহার করে বিচারের পথ রুদ্ধ করা হয় ৩ নভেম্বর জেল হত্যাকাণ্ডের এবং জিয়াউর রহমানের সামরিক আদালতে বিনা বিচারে সহস্রাধিক সৈনিক হত্যার।


৯ জুলাই অর্থাৎ ১৯৭৯ সালের যে দিনটি কুখ্যাত পঞ্চম সংশোধনী বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে পাস হয় সেই দিনটি শুধু আমাদের দেশের ইতিহাসে তাৎপর্যপূর্ণ নয় বরং সারা বিশ্বের জন্যই ৯ জুলাই পাস হওয়া পঞ্চম সংশোধনী তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার সর্বোচ্চ অপব্যবহারের মাধ্যমে পঞ্চম  সংশোধনীর দ্বারা বিচার প্রার্থীর বিচার চাওয়ার পথ রুদ্ধ করাকে আইনি বৈধতা দিয়েছিল জাতির সর্বোচ্চ ফোরাম জাতীয় সংসদ। এরকম একটা ঘটনা নিঃসন্দেহে পৃথিবীর সকল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য কলংকের।